বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

গভীর নিম্নচাপ: জিওব্যাগ ডিঙিয়ে আঘাত হানছে সৈকত পাড়ের ঝাউবনে

ভয়েস প্রতিবেদক:

সাগর উত্তাল। ঢেউ স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় উঠছে। বিশাল বিশাল এসব ঢেউ জিওব্যাগ ডিঙিয়ে আঘাত হানছে পাড়ের ঝাউবনেও। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৃশ্য এরকম। মনে আতঙ্ক ভর করলেও সৈকতে শত পর্যটকের ভিড়। কেউ উত্তাল সাগরের ছবি তুলে চলে যাচ্ছেন, আবার কেউ দূর থেকে উপভোগ সাগরের ভয়ংকর রূপ। এর মধেই মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলছেন সৈকতের স্বেচ্ছাসেবী দলের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ঢাকা থেকে আগত পর্যটক রশিদ আহমেদ বলেন, গত ২ দিন ধরে কক্সবাজারে। কিন্তু সাগর এতো উত্তাল ছিল না। আজকে দেখছি সাগর প্রচন্ড উত্তাল। সাগরে গোসলে নামার উপায় নেই। মনে হচ্ছে সাগরে নামলেই ঢেউ আঘাত করে নিয়ে যাবে।

আরেক পর্যটক মোহাম্মদ এমদাদ বলেন, এমন সাগর আগে কোনদিন দেখা হয়নি। এতো বড় বড় ঢেউ, সাগরের এমন সৌন্দর্য দূর থেকে খুবই উপভোগ করছি। তবে গোসল করতে নামে চেয়েছিলাম, কিন্তু লাইফ গার্ড কর্মীরা নামতে দেয়নি।

সৈকতের লাইফগার্ড কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর বলেন, জোয়ারের সময় সাগর বেশি উত্তাল। পানি উচ্চতা ৪ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই অনেক পর্যটক সাগরে গোসল করতে নামতে চাইলেও সাগর উত্তাল থাকায় কাউকে নামতে দেয়া হচ্ছে না। ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফ গার্ড ও বিচকর্মী সবাই একযোগে কাজ করছি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় সবাইকে সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে।

এদিকে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে বিপাকে পড়েছেন সুমুদ্রপাড় ঘিরে জেড স্কী, বিচ বাইক, ফটোগ্রাফার ও কিটকট ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিকভাবেই তাদের ব্যবসায় ভাটা। জেড স্কী উপকূলে উঠিয়ে রাখা হয়েছে। পর্যটক কম থাকায় ব্যবসা হচ্ছে না ফটোগ্রাফার ও বিচ বাইক চালকদের।

জেড স্কী চালক ফরমান বলেন, সাগরের বিশাল বিশাল ঢেউ। যার কারণে জেড স্কী উপকূলে উঠিয়ে রাখা হয়েছে। ব্যবসা এক প্রকার বন্ধ।

কিটকট ব্যবসায়ী রানা বলেন, লাবনী থেকে সুগন্ধা ও শৈবাল পয়েন্ট পর্যন্ত কয়েক’শ কিটকট বালুচর থেকে উঠিয়ে রাখা হয়েছে। এখন ব্যবসা বন্ধ করে নিরাপদে বসে আছি।

বেলা ১১টার পর শুরু হয় তুমুল ঝড়ো বৃষ্টি। গাছপালাও ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা। চারদিকে মেঘাচ্ছন্ন।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় (সকাল ৯টা) কক্সবাজারে ৯১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। আজ ও কাল ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং এর পরেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ১-২ দিন থাকবে।
ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION